আমার বিশ্বাস ও অবিশ্বাস

কথিকা

কাছের মানুষ আমাকে ঠকিয়েছে, আমার বিশ্বাসে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করেছে।

সুতরাং এখন থেকে কাউকে অবিশ্বাস করলে আমার দোষ হবে কেনো? অথবা অন্যায়ই বা হবে কেনো? যদি তাই হয়, তাহলে আমার বিশ্বাস করাটাই কি অপরাধ হয়েছে? না সেটা অপরাধ নয়। একটু স্বার্থপরতা; একটু স্বার্থপরতাই বিশ্বাসের জায়গাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তাই এখন থেকে আর কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। বিশ্বাস করতে বড় ভয় হয়। ঠকতে ঠকতে যখন নিঃশেষ হয়ে গেলাম, তখন আর বিশ্বাসের জন্যে জায়গাটা বড় খালি পড়ে থাকে। তখন ভয় এসে দাঁড়ায়।

শূন্য থেকে যেন কেউ একজন বলে উঠে, কাউকে বিশ্বাস করো না। একেবারেই বিশ্বাস করবে না। সে তোমাকে ঠকাবে। তোমার বিশ্বাস নষ্ট করে দেবে।

সুতরাং কোনোভাবেই বিশ্বাস করাটা উচিত হবে না। সত্যিই, আমার অন্তরই আমাকে আমাকে বারন করে বিশ্বাস করতে। তাই এখন কাউকে বিশ্বাস করতে গেলে শতবার চিন্তা করতে হয়। শতবার চিন্তা করতেই হবে। কারণ, চারিদিকে যে অবিশ্বাসের ছড়াছড়ি। ঠিক কাছের মানুষই অবিশ্বাসস্ততা করে বেশি।

সুতরাং কাছের মানুষ থেকে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। তাহলে ঠকার ভয়টা আর থাকবে না।