হাজীগঞ্জে এক রাতে দুই স্থানে গণধর্ষণ, ডিএনএ মিলেছে দুই যুবকের

নিউজ ডেস্ক ::
গত বছর হাজীগঞ্জ উপজেলায় একরাতে নারীকে দুই স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ ওই মামলায় অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত বছরের ২২ মে শনিবার বিকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা নদীবাড়ি বিনোদন পার্কে ওই নারী ঘুরতে আসেন। ওই সময় শাকিল নামের স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে পরিচয় হয়। তারই সূত্র ধরে সন্ধ্যার পর তারা ওই নারীকে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বৈষ্টব বাড়ির বালুর মাঠে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে ইসমাইল ও মহিন উদ্দিন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ওই সময় শাকিলও তাদের কাছে ছিল এবং ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করে। পরে ওই নারীকে একই রাতে শাকিলের খালার বাড়ি নোয়াদ্দা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে ইসমাইলের ভাই কালু ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এভাবে রাতভর ওই নারীকে নিয়ে এলাকার যুবকেরা গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগে বর্ণনা করা হয়।

সম্প্রতি ওই মামলায় আটককৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করে পুলিশ ধর্ষণের কাজে দুইজনের সত্যতা পেয়েছে। তারা হলো হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মাঝি বাড়ির মহিন উদ্দিন (২৬) ও রান্ধুনীমুড়ার ইসমাইল হোসেন (৩২)।

হাজীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃত শাকিল হোসেন (২৪) তাদের ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করেছে। অপরদিকে ইসমাইলের ভাই কালু পলাতক থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

ওই নারী হাজীগঞ্জ উপজেলার। বয়স ২০ বছর। ছয় মাস পূর্বে তার স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। (যুগান্তর )