মো. হৃদয় হোসেন, রায়পুর প্রতিনিধি:
সিএনজিচালিত অটোরিকশা, যা সিএনজি নামেই পরিচিত। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ছাপানো নির্দেশিকা মোতাবেক এটি ৪ জনের যানবাহন। অর্থাৎ সামনে চালক একজন এবং পিছনে যাত্রী তিনজন। আর রায়পুরে সামনের চালকের পাশে ডানে-বামে আরো দুইজন নিয়ে চলাচল করে সিএনজিসমূহ। কখনো দেখা যায়, সামনে তিনজন যাত্রী, চালক যেন যাত্রীর কোলে বসে সিএনজি চালাচ্ছে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রতিনিয়্যত ঝরে যাচ্ছে অকালে বহু তাজা প্রাণ।
কিছুদিন পূর্বেও রায়পুরে ছিল সিএনজি প্রতি দৈনিক চাঁদা (জিপি)। তখন চালকদের ভাষ্য ছিল চাঁদপুরের সিএনজি চালকদের রায়পুরে দিতে হয় দৈনিক এক’শ থেকে দেড়’শ টাকা, রায়পুরের ভিতরে এবং রায়পুর থেকে জেলার অন্য উপজেলাসমূহে দৈনিক ষাট থেকে এক’শ টাকা। তাই তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। প্রশাসন যাত্রী সাধারণের কথা বিবেচনা করে সকল প্রকার চাঁদা/জিপি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ‘যে-ই লাউ, সে-ই কদু’। ভাড়া কমেনি এক টাকাও। উপরন্ত বেড়েছে।
সামান্য সিএনজি চালিয়ে একজন চালক মাসে পাচ্ছেন ডিসি’র বেতনের চেয়েও অনেক বেশী অর্থ। সরকারী হিসেব মোতাবেক সিএনজিতে থাকবে তিনজন যাত্রী। যাত্রী প্রতি তিন টাকা কিলোমিটার হিসেবে সিএনজি চালক প্রতিবারে ভাড়া পাবে প্রতি কিলোমিটার নয় টাকা। সে হিসেবে রায়পুর থেকে লক্ষ্মীপুরের দূরুত্ব ১৬ কিলোমিটার, ভাড়া হবে ১৪৪ টাকা (প্রতি যাত্রী ৪৮ টাকা)।
অথচ তারা বর্তমানে ভাড়া নিচ্ছে জনপ্রতি ২৫০ টাকা। রায়পুর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দূরুত্ব ৩৩ কিলোমিটার, ভাড়া হবে ২৯৭ টাকা (প্রতি যাত্রী ৯৯ টাকা)। অথচ তারা বর্তমানে ভাড়া নিচ্ছে ৫০০ টাকা। বিভিন্ন উৎসব-পর্বনে এ ভাড়া ৩ থেকে ৫ গুন প্রর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আর প্রদর্শিত চিত্রের মতো হলে আরো একজনের ভাড়া বেশী। ভাড়া বাড়ায় চালকরা সিন্ডিকেট করে। অসহায় যাত্রী সাধারণ চালকদের কাছে জিম্মী। মনে মনে ক্ষোভ আর দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার থাকেনা।