ফরিদগঞ্জে পরাজিত জনপ্রতিনিধির একি কান্ড! মৃত ভাইয়ের স্ত্রী, সন্তানদের উপর অমানবিক নির্যাতন ও ভাংচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি বছরের শুরুতে গেল নির্বাচনে ইউপি সদস্য হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চরমভাবে পরাজিত হয়েছেন বিল্লাল হোসেন সর্দার। যে কিনা সমাজ পরিবর্তনে জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছেন, সেই ব্যক্তির নিজের ঘরের স্ত্রী, মৃত ভাইয়ের সন্তানদের উপর করে আসছেন দিনের পর দিন অবিচার।

জানা যায়, ফরিদগঞ্জের ৩ নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মনতলা দক্ষিণ সর্দার বাড়ীর মৃত আলতাব আলী সর্দারের ছেলে বিল্লাল হোসেন সর্দার। ২০১৪ সালে তার বড় ভাই ও ছোট ভাই মৃত্যুবরণ করে। দুই ভাইয়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লক্ষে একপ্রকার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন হালের প্ররাজিত জনপ্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন সর্দার। অর্থের লোভে পড়ে নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে ভরণপোষণ না দেওয়ার অজুহাতে খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্পত্তির লোভে মৃত ভাইদের স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়।

প্রায় ৮ বছর পর বড় ভাই মৃত কবির হোসেনের স্ত্রী সন্তানেরা বাড়ীতে ফিরে আসলে তাদেরকে বারে বার মারধোর করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিল্লাল সর্দার। গত দুই মাস পূর্বে বাড়ীর লোকজন ও এলাকাবাসী মিলে মৃত কবির হোসেনের স্ত্রী ও ৪ ছেলে মেয়ের মাথা খোজার ঠাই পেতে তাদের স্বীকৃত অধিকারভুক্ত বসত বাড়ীতে নতুন একটি রঙ্গিন ঘর তৈরি করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল বুধবার বিল্লাল হোসেন সর্দার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে মৃত বড় ভাই কবির সর্দারের স্ত্রী সন্তানদের উপর মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে মাথা, হাত, পাসহ শরীলের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তাক্ত যখম করে। সেই সাথে দেশীয় দ্যা, কুড়াল দিয়ে মানুষের দানকৃত নতুন ঘরের রঙ্গিন টিন কেটে তছনছ করে খুলে পেলেছে।

পরে বাড়ীর লোকজনের সহায়তায় রক্তাক্ত যখমপ্রাপ্ত মৃত কবির হোসেনের স্ত্রী আয়েশা বেগম, ছেলে কামরুল হাসান, মেয়ে তানজিনা আক্তার মিতুসহ ছোট দুই সন্তানকে উদ্ধার করে চাঁদপুর- সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

আহত সবাই গরুতর যখমপ্রাপ্ত হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

বাড়ীর পাশ্ববর্তী বাসিন্ধা হাবিব সর্দার বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করে মৃত কবির হোসেনের স্ত্রী সন্তানের থাকার জন্য বসতঘর তৈরি করে দিয়েছি। কিন্তু বিল্লাল সর্দার বাড়ী ও সমাজের মানুষকে কোন পাত্তা না দিয়ে একের পর এক তার আপন ভাইয়ের স্ত্রী সন্তানের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বিল্লাল হোসেন সর্দার বলেন, বড় ভাই কবির জীবিত থাকতে জায়গা বেশী বিক্রি করে গেছে। ঘটনার দিন ছোট বোন ও ভগ্নীপতির সাথে খারাপ ব্যবহার করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।