তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর ছবিটি কাল হয়ে দাঁড়ায়

বিনোদন প্রতিবেদক

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বেলুন ওড়ানোর একটি ছবি ভাইরাল হয়। এই ছবির জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক ভুগতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌসুমীর স্বামী অভিনেতা ওমর সানী।

মঙ্গলবার দুপুরে এফডিসির প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে নতুন সেন্সর বোর্ড গঠন হলে সেটির সংস্কারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে এ দাবি করেন ওমর সানী।

তিনি বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সঙ্গে নায়িকা মৌসুমীর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সুবাদে একসঙ্গে ছবি রয়েছে। ওই ছবিতে এক পাশে ববিতা আপা ছিলেন, এক পাশে মান্না ভাইও ছিলেন। সেখানে তারেক সাহেব ও তার স্ত্রী কবুতর উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। মৌসুমীও সেখানে ছিলেন। সেই ছবিটিই পরবর্তীতে মৌসুমীর জন্যে অনেকটা কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে ওই ছবির কারণে মৌসুমীকে একাধিকবার রোষানলে পড়তে হয়েছে।

এছাড়া সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কারণে তাদের কাজ হারাতে হয়েছে বলেও জানান ওমর সানী। তিনি বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু যখন তথ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন আমি এবং মৌসুমী অনুদানের জন্য একটি ছবির স্ক্রিপ্ট জমা দিয়েছিলাম। অনেকেই স্ক্রিপ্টটা দেখে বলেছিল- এক থেকে তিনের মধ্যে এটা অবস্থান করবে। তখন ১০টি ছবিকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। একটা সময় গিয়ে আমরা জানতে পারি দশ তো দূরের কথা বারটির মধ্যেও নাই।’

রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শিল্পীদের ছবি থাকা প্রসঙ্গে ওমর সানি বলেন, ‘পরিস্কার করে বলতে চাই, রাষ্ট্র যেখানে অবস্থান করিবে, প্রজারা সেখানে অবস্থান করিতে বাধ্য থাকিবে। শিল্পীদের সঙ্গে যে কারো ছবি থাকতে পারে। একজন চোরের সঙ্গে বা ব্রোথেল গার্ডের সঙ্গেও ছবি থাকতে পারে। তবে হ্যাঁ এটা সত্য মৌসুমী নমিনেশন (সংরক্ষিত মহিলা আসন, ২০১৮ সালের নির্বাচন) চেয়েছিল। কেন চেয়েছিল সেটা জাহির করতে আসিনি। এটা উপর ওয়ালা ভালো জানেন। মৌসুমী রাজনীতিতে জড়াবে না বলে একটা সময় আমেরিকা চলে যায়।’

এফডিসির শিল্পী সমিতি গুটিকয়েক নেতাদের কুলাঙ্গার উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, সেই কুলাঙ্গারদের কারণে প্রথমবার নির্বাচন করতে এসে দেখি তারা শাকিবের সঙ্গে কী করেছিল। শাকিব কেইস করেছিল। এই কুলাঙ্গারদের কারণে শাকিব সেই মামলা আগাতে পারে নাই। যারা এসবে প্রভাব খাটিয়েছিল অনেকে কারাবন্দী। মৌসুমী যখন সমিতির নির্বাচন করে তারা অনেকে এখন আছে যারা তার পিছনে ক্ষতি করেছিল।